সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন

খবরের শিরোনাম:

” কবিতাগুলোর জন্ম অথবা মৃত্যু “

গোলাম কবির
যখন কোনো কবিতা লিখতে শুরু করি
তখন যে কতো কিছু ঘটে যায় সবার অলক্ষ্যে
তা বলে শেষ করি কী করে?
তারপর ও না বললে যে আমারই ভাল্লাগছে না, তাই বলেই ফেলি। কোনো সময় মনে হয় আফ্রোদিতি তার সমস্ত সৌন্দর্য্য খুলে খুলে দেখিয়ে দিচ্ছে, আবার কখনো মনেহয়
বিলের শাপলা শালুক আর কচুরিপানার ফুল দুপুরের রোদে ঢেউয়ে ভেসে এসে আমার সামনে নৃত্যে মেতে ওঠে। কখনো মনেহয় কোনো এক সুপ্রাচীন কালের রাজপুত্র তাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করার সকরুণ ঘটনা বর্ণনা করছে,
আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠা সেই সব দৃশ্যাবলী আমাকে পীড়া দেয় খুব।
কখনো লিখার সময় মনেহয় এই তো সেদিন বঙ্গবন্ধু ফিরলেন পাকিস্তানের কারাগার হতে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ এর ১০ই জানুয়ারি, তারপর?
ভয়াল ১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্টের মধ্যরাত!
তাঁর বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া নিথর শরীরটা পড়ে আছে সিঁড়িতে! ভাবা যায়!
আমরা কতো বড়ো হতভাগা ও বেঈমান জাতি! যিনি আমাদের এনে দিলেন স্বাধীনতা,
তাঁকেই আমরা মেরে ফেললাম?
তারপর সারা শরীর মন অবশ হয়ে আসে, ভালো লাগে না কিছুই, নিদ্রাহীন কেটে গেল সেদিন। আর কবিতা? সে কেবলই আমাকে উপহাস করে ও ধরা দেবে না বলে পালিয়ে বেড়ায় তখন। কখনো কখনো আমার মনেহয় কে যেনো
পাঁচ তলা ভবনের উপর থেকে লাফিয়ে পড়তে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে কান্নাকাটি করছে, তাকিয়ে দেখি একটা কিশোর বয়সের ছেলে!
মনটা বিষন্নতায় ছেয়ে গেলো!
সেদিন কবিতা লিখা আর হলো না।
কখনো কখনো আল কোরআনের কোনো কোনো আয়াত মগজের ভিতরে ও অনুভবের সমস্ত
শাখা প্রশাখায় আলোড়ন তোলে,
কী একটা অদ্ভুত ভালোলাগায় মন ভরে থাকে, আরবীয় শেখদের অত্যন্ত দামি আতরের ঘ্রাণে ভরে যায় মন আমার, দারুণ কোনো কবিতা হয়তো সেদিন লিখা হয়ে যায়।
এভাবেই কবিতাগুলোর জন্ম অথবা মৃত্যু হয়।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.